বাংলাদেশের e-GP সিস্টেমে দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রথম ধাপ হলো ব্যবহারকারী নিবন্ধন (User Registration)।
ধাপ ১: e-GP পোর্টালে (www.eprocure.gov.bd) প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: “Create New Account” এ ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করুন।
ধাপ ৩: প্রতিষ্ঠানের নাম, ব্যবসায়িক লাইসেন্স নম্বর, TIN, VAT, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা সঠিকভাবে প্রদান করুন।
ধাপ ৪: ব্যবহারকারীর জন্য একটি User ID ও Password তৈরি করতে হবে।
ধাপ ৫: সমস্ত তথ্য যাচাই করার পর অ্যাকাউন্ট সাবমিট করুন।
ধাপ ৬: ই-মেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হবে, যা নিশ্চিত করলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
👉 নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সঠিক তথ্য প্রদান অত্যন্ত জরুরি, কারণ ভুল তথ্যের কারণে টেন্ডার জমা দেওয়া বাতিল হতে পারে।
অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, ব্যবহারকারীকে তার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে।
লগইন প্রক্রিয়া: e-GP User ID ও Password দিয়ে সিস্টেমে প্রবেশ।
প্রোফাইল তথ্য: প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য, যোগাযোগ ব্যক্তির নাম, পদবি, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।
হালনাগাদ (Update): সময়ে সময়ে তথ্য পরিবর্তন হলে প্রোফাইল আপডেট করতে হবে (যেমন নতুন ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যাংক তথ্য পরিবর্তন)।
👉 সঠিক ও আপডেটেড প্রোফাইল তথ্য ছাড়া e-GP সিস্টেমে টেন্ডার জমা দেওয়া সম্ভব নয়।
e-GP প্ল্যাটফর্মে দরপত্র জমা ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগনেচার সার্টিফিকেট (DSC) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল সার্টিফিকেট কী?
এটি একটি ইলেকট্রনিক সিগনেচার যা নথি ও লেনদেনকে নিরাপদ এবং বৈধ করে।
প্রয়োজনীয়তা:
দরপত্র ফাইল জমা দেওয়া
চুক্তি সই করা
সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় আইনি সুরক্ষা প্রদান
কিভাবে পাবেন?
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (BCC) বা অনুমোদিত সার্টিফিকেট অথরিটি থেকে আবেদন করে এটি সংগ্রহ করা যায়।
ব্যবহার:
প্রতিবার দরপত্র জমা দেওয়ার আগে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার (Cryptographic Tool) ব্যবহার করে ফাইল ডিজিটালি সাইন করতে হয়।
👉 ডিজিটাল সার্টিফিকেট ছাড়া e-GP প্ল্যাটফর্মে দরপত্র জমা দেওয়া বৈধ নয়।